আজকের এই পর্বে আমারা ইসলামি মিথ্যাচার তুলে ধরব। মোল্লারা নিজদেরকে রক্ষার জন্য কত পাল্টিবাজ হতে পারে তা আজকের পর্বে ফতোয়ার কিতাব থেকে তুলে ধরছি:-
১. কেউ কসম করে বলল সে রুটি খাবে না। তারপর সে রুটি শুকিয়ে গুড়া করে তাতে পানি মিশিয়ে পান করলে তার কমস ভঙ্গ হবে না। কিন্ত রুটি যদি পানিতে ভিজিয়ে খায় তবে কসম ভঙ্গ হবে। ( ফতোয়ায়ে আলমগিরি, ই ফা বা, পৃষ্ঠা ২২৬)
মন্তব্যঃ মোল্লারা নিজেদের মগজে যে কি রকম পাল্টিবাজ জ্ঞান ধারণ করে এটা তার উদাহরণ মাত্র।
২. কোন ব্যক্তি কসম করল যে সে তরমুজ খাবে না। অতপর ছোট কাচা তরমুজ ভক্ষণ করল তাহলে ফকিহদের মতে কসম ভঙ্গ হবে না। (ঐ পৃষ্ঠা ২২৮)
মন্তব্যঃ কাচা তরমুজ কিন্তু তরমুজ নয়, এটা মোল্লাতান্ত্রিক বিজ্ঞান।
৩. কেউ তার স্ত্রীকে বলল, আজ আমি যদি তোমাকে প্রহার না করি তবে তুমি ত্বলাক। এরপর স্বামী তাকে মারতে চাইলে তখন মহিলা বলল, তোমার শরীরের কোন অঙ্গ আমার কোন অঙ্গের সাথে স্পর্শিত হয় তবে আমার গোলাম আযাদ। এরপর সে তার গায়ে হাত দেয়া ব্যতিরেকে লাঠি দ্বারা তাকে প্রহার করে তাহলে তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে।(ঐ পৃষ্ঠা ৩৪১)
মন্তব্যঃ বাহ্! হাতের বদলে লাঠি। মোল্লাদের বুদ্ধি আছে বৈকি।
৪. এক ব্যক্তি প্রতিজ্ঞা করল, সে হাারাম কাজ করবে না।অতপর সে ফাসিদ তরীকায় বিবাহ করলে তার প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হবে না। এমনিভাবে চতুষ্পদ জন্তুর সাথে যৌোনাচার করলেও তা ভঙ্গ হবে না। (ঐ পৃষ্ঠা ৩৬৫)
মন্তব্যঃ চতুষ্পদ জন্তুর সাথে যৌনচারকেও সহিস পদ্ধতিতে বৈধতা দিয়েছিল মোল্লারা।
৫. যদি মহিলা ঘুমন্ত কোন পুরুষকে নিজের সাথে যিনা করার সুযোগ প্রদান করে তাহলে তাদের উপর হদ্দ ওয়াজিব হবে না। ( ঐ পৃঃ ৩৯৬)
মন্তব্যঃ হুজুরা তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যেনা করে? এই ফতোয়া অবশ্য আমাদের নবী মোহাম্মাদের জীবনের উপর গবেষণা করে দেয়া হয়েছে। মোহাম্মদ উম্মে হানির ঘরে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যেনা করেছে আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ডানাওয়ালা ঘোড়ায় চড়ে মেরাজ করেছে। উম্মে হানি ছিল সেই ডানাওয়ালা ঘোড়া।
প্রিয় পাঠক, গত পর্ব গুলোতেও ইসলামী নানা ভন্ডামো তুলে ধরা হয়েছে। শুধু ইসলামই নয় প্রত্যেক ধর্মই ভন্ডামোতে পরিপূর্ণ। যে ব্যক্তি যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করে সেই পরিবারের লালিত বিশ্বাসকেই সর্বসেরা মনে করে। অথচ কখনই সেই বিশ্বাস পর্যালোচনা করে দেখার প্রয়োজন মনে করে না। যারা সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে শিখেছে তারাই ওসব বিশ্বাসকে ছুড়ে ফেলতে শিখেছে। যারা অন্ধ বিশ্বাস ও গোড়ামি থেকে বেড়িয়ে এসে মুক্তভাবে চিন্তা করতে পারে তারাই হচ্ছে নাস্তিক। ধর্ম ত্যাগ করার জন্য ধর্ম গ্রন্থের একটি ভুলই যথেষ্ট।কারণ ধর্মগ্রন্থগুলো নির্ভল দাবি করে। আর একটি ভুল খুজে পাওয়া মানেই সেই দাবিও মিথ্যা হয়ে যায়। ইসলামী বিশ্বাস থেকে এতগুলো ভন্ডামি তুলে ধরার পরেও যদি কেউ ইসলামকে নির্ভল দাবি করে তবে তাকে করুণার চোখে দেখব। কারণ পাগলকে করুণার চোখেই দেখা উচিৎ। আর যাদের সামন্যতম জ্ঞান আছে তাদের কাছে আশা করি তারা দ্রুত ইসলাম থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন।
Comments
15 responses to “ফতোয়াবাজিঃ- শেষ পর্ব”
তুই একটা ইহুদীর দালাল। থাকস লন্ডনে আর গালাগালি করস ইসলামকে। তোর মতো নাস্তিক-মুরতাদের বাঁচার কোনো অধিকার নাই। তুই মরবি আমাদের হাতে। চাপাতি নিয়া অপেক্ষায় আছি।
তুই সমাজের শত্রু। শুয়োরের বাচ্চা।
ইসলাম সম্পর্কে আজাইরা কথা না লিখলে ভালো লাগে না, না?
তোর মা তো একটা খানকি, তাই তোর মতো একটা জারজ সন্তান জন্ম দিশে। খানকির ভোদা ফাটিয়ে দিবো আরেকবার। তোর এতো বড় সাহস কিভাবে হলো তুই আমার দেশ, আমার ইসলাম নিয়ে কথা বলিস?
দাদা একদম ঠিক বলেছেন। মনের মতো একটা কথা বললেন!
তোর মতো কুলাঙ্গারদের বাংলাদেশ থেকে লাথি দিয়ে বিতাড়িত করা উচিত
এটা যার শাউয়ার দেশই হোক না কেন, তোগো মতো নাস্তিকদের নয়।
তোদেরকে ঠ্যাঙ্গাইয়া এই দেশ থেকে বের করে দিবো
তোর কল্লা ফেলে দিবো
বাংলাদেশ একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে, এখানে এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না। আবারো বলছি, ভালো হয়ে যা, এসব বালছাল পোস্ট ডিলিট করে দে, জানিস না তোর মতো নাস্তিকদের কেটে টুকরো ফেলা হয় এ দেশে? তোকে শেষ সুযোগ দিচ্ছি।
সময় থাকতে ইসলামের ছায়াতলে চলে আয়, নাহলে তোকে লাশ বানানো কিন্তু ২ মিনিটের ব্যাপার।
দাদা আপনি এতো সুন্দর করে গুছিয়ে কিভাবে লিখেন?
খানকির বাচ্চা তোর এতে কি আসে যায়? এ বিষয়ে আর টু শব্দ শুনতে চাইনা
ইসলাম নিয়ে একটা বাজে কথা বলবি না
তোর এতো বড়ো সাহস আমাদের ইসলাম আর নবীকে নিয়ে কটূক্তি করছিস? ধর থেকে মাথাটা ফেলে দিবো কিন্তু